ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

ত্বক মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গের যত্ন নিতে চায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটির জন্য মানুষ প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করে থাকে।  দেখা যায় মানুষ সৌন্দর্য বীজের জন্য টাকা খরচ করতে কখনো কৃপণতা বোধ করে না।  ধৈর্যের জন্য ত্বক একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।  যার ত্বক যত পরিষ্কার এবং  দাগ মুক্ত তাকে তত বেশি সুন্দরী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই আদিকাল থেকেই ত্বকের যত নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি প্রচলিত আছে যা এখনো বর্তমান আধুনিক সমাজেও প্রচলিত। 

বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ত্বক এর যত্ন নাশক থাকলেও মানুষ আদিম কিছু উপাদানকে প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।  অনেক মানুষ আছেন যারা নিজেদের কে সুন্দর রাখার জন্য পার্সোনাল বিউটিশিয়ান রাখেন।  এসব দের কাজ হল কিভাবে একজন মানুষকে ধৈর্য বৃদ্ধি করা যায় এবং সেটা চিরদিন অটুট রাখা যায়। পিপাসু মানুষ তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করে থাকে। আতিক খানের রাজা বাদশা রাত কিছু প্রাকৃতিক উপায় এর মাধ্যমে তাদের ত্বক মসৃণ সুন্দর এবং লাবণ্যময় করতো। সময়ের কোন কেমিক্যাল বা রাসায়নিক বস্তু ছিল না প্রাকৃতিকভাবেই তারা তাদের যত্ন নিত। 

আজকে আমরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে কিভাবে আমাদের ত্বকে সুন্দর ও লাবণ্যময় করতে পারি সে সম্পর্কে  জানব। এই উপাদান গুলোর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং এগুলো আমাদের দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ করে থাকে। নিচে কয়েকটি উপাদানের নাম দেওয়া হলো

০১।শসা: সেই আদিকাল থেকেই ত্বকের যত্নে শসার ব্যবহার হয়ে আসছে।  শসা কি কলি করে কেটে মুখের মধ্যে বসলে বা যেসব স্থানের দ্বারপ্রান্তে সেখানে ঘষামাজা করলে আস্তে আস্তে পুরনো চামড়াটি পরিবর্তিত হয়ে নতুন চামড়ার বর্জন এবং আমাদের দেহ অনেক লাবণ্যময় হয়ে ওঠে।   ব্লেন্ডার দিয়ে শসাকে ব্লান্ড করে এর পানি মুখের মধ্যে লাগালে মুখ সহজে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং আমাদের চামড়া অনেক উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়।  এটা ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকের কোন ক্ষতি হয় না বরং এর পুষ্টি উপাদান আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী হয়ে থাকে।  অসৎ প্রতিদিন ব্যবহার করলে ত্বকের কালো দাগ দূর হয়ে যায় এবং ত্বক আস্তে আস্তে উজ্জ্বল লাবণ্যময় হয়।

০২। চালের পানি: চাল ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর যে পানি তৈরি হয় সেটা একটা পাত্র সংগ্রহ করে বেশ কয়েকদিন ব্যবহার করা যায়।  চালের প্রাণী প্রাকৃতিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।  এ পানি কালো দাগ ত্বকের ট্রানিং এবং পিগমেন্টেশন হ্রাস করতে সহায়তা করে।চালের খনিজ উপাদান গুলো ত্বকের মধ্যে টাইরোসিন এর ক্রিয়া-কলাপকে বাধা দিয়ে যেগুলো আমাদের পক্ষে কালো করে  তুলে।  এ ভাড়া দেওয়ার ফলে আমাদের ত্বক কালো হওয়া থেকে রক্ষা পায় এবং উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। এই উপাদান তৈরির জন্য আমাদের বাড়তি কোন খরচ করতে হয় না অতিক্রম করেছে আমরা সহজেই একটি প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের দেহকে লাবণ্যময় করতে পারি। 

০৩। এলোভেরা জেল: এলোভেরা গাছের পাতার মধ্যে যে সাধারণের এক ধরনের পিচ্ছিল পদার্থ থাকে এটাকে এলোভেরা জেল বলা হয়।  এই জেলের মধ্যে এলইন নামক একটি উপাদান থাকে যা আমাদের ত্বকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আমাদের ত্বক সুন্দর করার জন্য এই প্রাকৃতিক উপাদানটি আমরা সহজেই পেতে পারি এবং ব্যবহার করতে পারি যার মাধ্যমে আমাদের কোন ৫০০প্র প্রতিক্রিয়া ছাড়াই আমাদের শরীরের যত্ন নিতে পারি। এলোভেরা গাছ বিভিন্ন ঔষুধি গুন হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে আপনি বাড়ির আশেপাশে যেকোনো জায়গায় যদি গাছ লাগে রাখেন তাহলে সবসময়ই অতি অল্প খরচে আপনার ত্বকের যত্নের জন্য এর বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না।

০৪।  লেবুর রস:  লেবুর রসের মধ্যে ঢাকা ভিটামিন সি আমাদের ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।  লেবুর রস একটি বাটের মধ্যে নিয়ে আমাদের মুখে বা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর সেটা ধুয়ে ফেললে দেখা যায় আমাদের শরীরের কালো বা মুখের কালো দাগ গুলো সহজে আস্তে আস্তে বিভিন্ন হয়ে যায়। এটি একটি প্রাকৃতিক পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে যা আমরা কম খরচে এবং অতি সহজলভ্য হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। লেবুর রস ত্বকের পিগমেন্টেশন দূর করতে সহায়তা করে। লেবুর রসের সাথে সহায়ক হিসেবে মধু এবং  টমেটোর রস মিশিয়ে মুখের মধ্যে মালিশ করে কিছুক্ষণ রাখার পর ধুয়ে ফেললে দেখা যায় আমাদের মুখে সকল অবাঞ্ছিত দাগ দূর হয়ে যায় এবং মুখের মধ্যে একটি ফ্রেশ লাবণ্যময়তা দীপ্তি দেখা যায়।

০৫।হলুদ  হকের যত্নের জন্য হলুদের বিকল্প এখন আর কোন জিনিস নেই।  তবে পরিষ্কারের জন্য হলুদ সম্পর্কে জানেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দুরুহ। কাঁচা হলুদ ত্বকের মধ্যে লাগালে ত্বকের মধ্যে একটি হলুদ বাপ তৈরি হয় এবং ত্বকের গুঁড়িয়ে থাকা মহিলা পরিষ্কার হয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এর ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য হলুদের সাথে দুধ ও মধু মিশিয়ে বুকের মধ্যে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলে অনেক ভালো একটি ফলাফল পাওয়া যায়।

এগুলো ছাড়াও অনেক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।  মানুষ আদিকাল থেকেই অনেক প্রাকৃতিক জিনিসের মাধ্যমে তা রূপচর্চার করে আসছে এগুলো আমাদের যদি ব্যবহার করতে পারি তাহলে অবশ্যই অতি কম করেছে এবং প্রাকৃতিকভাবে এবং কোন বাক্স প্রতিক্রিয়া ছাড়া আমরা বুকের যত্ন নিতে পারব যা আমাদের অনেক অর্থনৈতিক সাশ্রয় হবে।

সজিনা পাতার ঔষধি গুন

Views: 10

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *